স্টাম্প প্যাডের যাত্রার ইতিহাস এবং বর্তমান
শনাক্তকরণ বা
সিল মারার কাজে বহু আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে স্টাম্প প্যাড। শনাক্তকরণের কাজে
আঙুলের ছাপ প্রয়োজন হয়। আর তা আঙ্গুল স্টামপ্যাডে ঠেসে ধরে দলিল বা কোনও কাগজে ছাপ
দেয়া হয়। যদিও এই পদ্ধতির ব্যবহার ইদানীং কমে আসছে, তবু এর
ব্যবহার নিঃশেষ হয়ে যায়নি।। প্রতিটি মানুষ যেমন ভিন্ন, তেমনি আঙুলের ছাপও ভিন্ন। আঙুলের ছাপ সংক্রান্ত এই
তথ্যটি আবিস্কার করেন ইতালির শরীরবিদ মারসেলো মালপিমির। ১৮৮৬ সালে তিনি এই তথ্যটি
আবিস্কার করেন।
একদিন তিনি মাইক্রোসকোপের নিচে আঙুল রেখে দেখেন যে, আঙুলের অগ্রভাগ ঝালরের ভাঁজের মতো ও কুণ্ডলীর মতো প্যাঁচানো। সেদিন থেকেই এই পদ্ধতিটির আবিস্কার ঘটে। কয়েক বছর পরের কথা, আঙুলের ছাপ কিভাবে নেয়া হবে এই নিয়ে শুরু হলো প্রথম পরীক্ষা-নিরীক্ষা। শেষে স্থির হলো, আঙুলের অগ্রভাগকে হালকাভাবে কালিতে ডুবিয়ে নিয়ে ছাপ দেওয়া যেতে পারে। এ পদ্ধতির ব্যবহার এখনও রয়েছে। ১৮৮০ সালে ইংরেজি বিজ্ঞানী সার ফ্রান্সিস গ্যালটন আঙুলের ছাপকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করতে নেমে পড়েন। এর কয়েক বছর পরেই এই পদ্ধতিকেই সহজবোধ করে তোলেন সার এডওয়ার্ড হেনরি। হেনরি ছিলেন লন্ডনের পুলিশ কমিশনার।
আঙুলের ছাপের
ব্যবহার প্রথম শুরু হয় ইউরোপে এবং সেটি সরকারিভাবে। প্রথমে কয়েদীদের ছাপ নেওয়া হতো
শনাক্ত করার কাজে। তারপর থেকে প্রায় সব ধরনের শনাক্তকরণের কাজে আঙুলের ছাপ ব্যবহৃত
হতে লাগল। বিশেষ করে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। আমাদের দেশে সাধারনত পূর্ব থেকেই অশিক্ষিত
জনসাধারনের নিকট থেকে আঙ্গুলের ছাপ গ্রহন করা হতো।
কালের
বিবর্তনে কিছু দিন আগেও ধারনা করা হচ্ছিল হাতের আঙ্গুলের ছাপের দিন মনে হয় শেষ হয়ে
যাচ্ছে কিন্তু কম্পিউটারের সাহায্যে হাতের ছাপ পরীক্ষা করার নিয়ম উদ্ভাবনের পর এই
পদ্ধতিটির নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বর্তমান সময়ে সকল কাজে আবার ব্যাপকভাবে আঙ্গুলের
ছাপ গ্রহনের প্রচলন শুরু হযেছে। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা আঙ্গুলের বা হাতের ছাপ নিযে
আরো গবেষণা করছেন। ধারনা করা হয় ভবিষ্যতে হতের ছাপ বা স্টাম প্যাড সম্পর্কে আরো
নতুন নতুন বিষয় আবিস্কৃত হবে।
কোন মন্তব্য নেই