আজব বিচিত্র বাই সাইকেলের সংগ্রহশালা
দুনিয়া জুড়ে
ব্যতিক্রমী বা কৌতুহলী মানুষের সংখা কম নয়। এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা অন্যদের
থেকে আলাদা। সাধারন মানুষ ও ব্যতিক্রমী মানুষের মধ্যে পার্থক্য এই যে, সাধারন মানুষ যা করে ব্যতিক্রমী মানুষরা সেটাকে ভিন্ন
ভাবে করে এবং তা থেকে নতুন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করে। এমনই একজন ব্যতিক্রমী মানুষ
হচ্ছেন আর্থার ডিলন। তিনি বসবাস করেন ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলসে। ব্যতিক্রমী সব
সাইকেল তৈরী করে তিনি বিশ্ব জুড়ে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন। তাই সবার কাছে তিনি এখন
ব্যতিক্রমী মানুষ হিসাবে পরিচিত। আর্থার ডিলন তৈরী করেছেন বিভিন্ন মডেলের অদ্ভূত
সব সাইকেল। এই সাইকেল গুলো তৈরির পিছনে তিনি সাহায্য নিয়েছেন পুরাতন সব সাইকেলের
ছবির।
ঐতিহাসিক
সাইকেলের ছবি এবং সেই সংঙ্গে তার পিলে চমকানো সব বুদ্ধি দিয়ে তৈরি করেছেন এই সব
আজব সাইকেল। তার তৈরীকৃত সাইকেল গুলোর আকৃতিও বিশাল। আসুন এবার আমরা পরিচিত হয় তার
তৈরীকৃত কিছূ আজব সাইকেলের সাথে।
ছবিতে হলুদ রংয়ের যে সাইকেলটি দেখতে পাচ্ছেন এই সাইকেলটির নাম মনো সাইকেল। এর বাইরের হলুদ চাকাটির ব্যাস ৭ মিটার। এই সাইকেলটি চালানোর জন্য ডিলনকে দু’জন লোকের সাহায্য নিতে হয়। তিনি যখন পেডেল ঘুরাতে শুরু করেন তখন তারা পিছন থেকে ধাক্কা দেন। আজব সাইকেলটি চালাতে দু’জন সাহায্যকারী না পাওয়া গেলে এটি একা চালানো প্রায় অসম্ভব। আরোও মজার ব্যাপার হচ্ছে, সাইকেলটির কোন ব্রেক নেই। ফলে যেখানে ভিড় সেখানে এই সাইকেলটি চালানো বিপদজনক।
লাল রংয়ের সাইকেলটির নাম ইউনিসাইকেল। ১৮০০ সালের দিকে ব্যবহার করা হতো এমন সাইকেলের ছবি দেখে ডিলন এই সাইকেলটি তৈরী করেন। লাল রঙ্গের এই সাইকেলটি চালাতে দুজন ব্যক্তির দরকার হয়। এই সাইকেলটি বিশাল দানবাকৃতির চাকাসর্বস্ব। চাকার দু’ধারে হ্যান্ডেলের সাথে দু’জনের বসার জায়গা থাকে এবং তার সাথে থাকে পেডেল ঘুরানোর ব্যবস্থা। সেখানে বসে দুজনকে একত্রে সাইকেলটি চালাতে হয়।
পিছনের বড় চাকার এই সাইকেলেটির নাম ট্রাই সাইকেল। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ত্রিচক্রযান। ডিলনের এই অতিকায় সাইকেলের বড় চাকা দুটির প্রতিটির ব্যাস ১১ ফুট। এই সাইকেলটি একসাথে তিনজনে চালানো যায়। সাইকেলটি দুতলা বিশিষ্টও বলা যেতে পারে। সাইকেলটির নিচের দিকে একজন এবং ঠিক তার মাথার উপরে সামনে পিছনে করা আরোও দুটি সিটে দু’জন বসে একত্রে তিনজন মিলে সাইকেলটি চালাতে হয়।
এই যে সাইকেলটি দেখছেন এটি তিনজনে চালাতে হয়। চালানোর সময় তিন জন একত্রে পেডেল করার ব্যাবস্থা আছে এই সাইকেলে। সাইকেলটির সবচেয়ে আরামদায়ক বিষয় হচ্ছে, সাইকেলটির পিছেনে অতিরিক্ত চাকা লাগানো একটি অংশ আছে যেখানে মালামাল রেখে সহজেই চলাচল করা যায়।
বড় বড় দুটি চাকা বিশিষ্ট এই সাইকেলটির নাম বিচ সাইকেল। এই সাইকেলটি সামনে বসে একজন চালায় এবং তার পিছনের একটি সিটে একজন বসে তার চারধারের সবকিছু দেখতে বা জানাতে সাহায্য করে। ডিলন এই সাইকেল চড়ে সমুদ্র তীরের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া সাইকেল চালানোর পথগুলোয় ঘুরে বেড়াতেন।
কোন মন্তব্য নেই