Header Ads

বিশ্বকাপ ফুটবলে ভারতের লজ্জা !

বিশ্বকাপ ফুটবল বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জমকালো আকর্ষণীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। যাকে বলা হয় গ্রেটেস্ট শোন অব দ্যা আর্থ। প্রতি বছর পরপর ফিফা নির্ধারিত বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা। বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ গ্রহণ একটি স্বপ্নের বিষয়। বিশ্বের ফুটবল প্রেমীরা দীর্ঘ প্রতীক্ষায় বসে থাকেন বিশ্বকাপের অপেক্ষায়। বিশ্বকাপ ফুটবলের যাত্রা শুরু হয় ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে। সেখান থেকে প্রতি বছর পরপর অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ১৯৪৬ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়নি।


বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ প্রত্যেকটি দেশের জন্য একটি গৌরবের বিষয়। বর্তমানে বিশ্বকাপ ফুটবলে মোট ৩২টি দেশ অংশ গ্রহণ করে থাকে। বিশ্বকাপ জয় করা যেমন কঠিন ঠিক তেমনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করাও কম কঠিন নয়। প্রতি বিশ্বকাপের আগে চ্যাম্পিয়ন এবং স্বাগতিক দেশ ছাড়া বিশ্বের সকল দেশকে বাছাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়। প্রাক-বাছাই এবং বাছাই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় চূড়ান্ত পর্বের ৩২টি দেশ। অনেক শক্তিশালী দেশও বাছাই পর্বের আগে সাহসের সাথে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারে না যে, এবারের বিশ্বকাপে তারা খেলতে পারবে! যেমন ব্রাজিল ২০০৬ সালে এবং আর্জেন্টিনা ২০১০ সালের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব অতিক্রম করেছিল চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে।

শক্তির বিচারে ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ভুটান, নেপাল প্রভৃতি দেশগুলো অনেক পিছিয়ে। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। এমন স্বপ্ন যেন তা কখনও পূরণ হবার নয়। ফলে বিশ্বের শক্তিশালী সব দলকে বাছাই পর্বে টপকে এই দেশগুলো কখনও বিশ্বকাপ খেলতে পারবে বলে মনে করা হয় না। তবে এই দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র সৌভাগ্যবান দেশটি হচ্ছে ভারত। কারণ একবার বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল এই দেশটির সামনে। কিন্তু তার পরের ইতিহাস শুধুই লজ্জার।

১৯৫০ সালে ৪র্থ বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসেছিল ব্রাজিলে। এই আসরে মোট ১৬টি দেশ অংশগ্রহণের কথা ছিল। ইউরোপ থেকে ৭টি, আমেরিকা থেকে ৬টি,এশিয়া থেকে ১টি এবং চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক দেশের অংশগ্রহণের কথা ছিল। চূড়ান্ত করা হয় প্রত্যেক মহাদেশে কয়েকটি দেশের মধ্যে বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে এবং তার মাধ্যমে ১৬টি দেশ বাছাই করা হবে। কিন্তু অনেক দেশই বাছাই পর্বের বিরোধিতা করে বিশ্বকাপ থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। এশিয়ার বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, বার্মা এবং ভারতের মধ্যে। বাছাইপর্ব পেরিয়ে এই চার দলের মধ্য থেকে একদল খেলবে চূড়ান্ত পর্বে। কিন্তু বাছাই পর্বের বিরোধিতা করে শুরুতেই ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া বার্মা বিশ্বকাপ থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে ভারতের সামনে সুবর্ণ সুযোগ আসে বাছাই পর্ব না খেলেই স্বপ্নের বিশ্বকাপ খেলার।

১৯৫০ সালে ব্রাজিলে বিশ্বকাপের ৪র্থ আসর শুরু হয় ২৪ জুন। ভারত ছিল এই বিশ্বকাপে ইতালি, প্যারাগুয়ে সুইডেনের সাথে নং গ্রুপে। কিন্তু স্বপ্নের বিশ্বকাপ শুরুর কিছু দিন আগেই বিপদে পড়ে ভারতীয় দল। কারণ, ফিফা এই বিশ্বকাপ থেকে খেলোয়াড়দের খালি পায়ে খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং বুট পরে খেলা বাধ্যতামূলক করে। এই নতুন আইনের ফলে বিপদে পড়ে যায় ভারত। কারণ, তাদের ফুটবলারদের বুট পরে খেলার অভ্যাস ছিল না। তারা খালি পায়ে খেলায় অভ্যস্ত ছিল। এর আগে ১৯৪৮ সালের অলিম্পিকে ভারতীয় ফুটবল দল অংশগ্রহণ করেছিল এবং সেখানে তাদের ফুটবলাররা অংশ গ্রহণ করেছিল খালি পায়ে। ফিফা তার নতুন আইনে অনড় থাকায় এবং ভারতীয়দের বুট পরে খেলার অযোগ্যতার কারণে শেষ পর্যন্ত ভারত বিশ্বকাপ থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে নেয়।

বিশ্বকাপ থেকে ভারতের নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার আরও একটি কারণ জমা আছে ফিফাই। আর সেটি হচ্ছে আর্থিক অভাবে ভারতীয় ফুটবল দল ব্রাজিল সফর করতে না পারায় তারা বিশ্বকাপ থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় কারণটির চেয়ে প্রথম কারণটি বেশ লজ্জার হতাশার। এই হচ্ছে ভারতের বিশ্বকাপ ফুটবল উপাখ্যান।

সেই বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার পরও অংশ নেয়া হয়নি তাদের, তারপর অর্ধ-শতাব্দীর বেশী সময় অতিবাহিত হলেও ভারত আর বিশ্বকাপের ধারের কাছেও যেতে পারিনি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো ভারতের কাছেও এখন বিশ্বকাপ ফুটবল শুধুই স্বপ্ন। ভবিষ্যতে আর কখনও ভারতের সামনে এমন সুযোগ আসবে কিনা কেউ জানে না। ১৯৫০ সালের মতো দলগুলো নাম প্রত্যাহার করে দিয়ে ভারতকে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ করে দিলে হয়তো খুশিই হতো ভারত। নতুবা হয়তো তাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও যুগ থেকে যুগান্তর।

উল্লেখ্য এই বিশ্বকাপে তুরস্ক জার্মানিও আর্থিক অভাবে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়ে ছিল।

1 টি মন্তব্য:

  1. hi rakomari.blogspot.com owner found your site via search engine but it was hard to find and I see you could have more visitors because there are not so many comments yet. I have discovered site which offer to dramatically increase traffic to your site http://xrumerservice.org they claim they managed to get close to 1000 visitors/day using their services you could also get lot more targeted traffic from search engines as you have now. I used their services and got significantly more visitors to my blog. Hope this helps :) They offer homepage service seo mistakes backlinks backlinks tool Take care. Jay

    উত্তরমুছুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.