Header Ads

প্রযুক্তির বিভিন্ন পণ্যের নামকরণের মজার ইতিহাস

আমরা যারা ইন্টারনেট বা কম্পিউটার ব্যবহার করি তারা বেশকিছু নামের সাথে অতি পরিচিত। এই নামগুলোর সাথে আমরা পরিচিত, কিন্তু জানিনা কিভাবে এই নামগুলো আসলো বা এই নামগুলোর অর্থও বা কি। আর এই নামগুলোর উচ্চারন, তাদের ডিজাইন জনপ্রিয়তা এত বেশী যে, তাতে সত্যিই আমাদের মনে জিজ্ঞাসার সৃষ্টি করে কিভাবে এলো এই নামগুলো! বা কোম্পানীগুলো কেনই বা এই নামগুলো পছন্দ করেছিল! যেমন: Google, Yahoo, Microsoft, Red Hat ইত্যাদি। তাহলে আসুন আমরা প্রযুক্তির এই নামকরণের বিষয়ে সংক্ষিপ্তভাবে জানার চেষ্টা করি।


গুগল (Google):

যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তারা সম্ভবত এই শব্দটির সাথে সবচেয়ে বেশী পরিচিত। Google ইন্টারনেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। Google শব্দটি মূলত গাণিতিক Google থেকে নেয়া হয়েছে। যার অর্থ এর পর ১০০টি শূণ্য দিলে যা হয় তাই। সম্ভবত গুগল কতৃপক্ষ ইন্টারনেটের বিশাল তথ্য ভান্ডারের বিশালতাকে উপলব্ধি করানোর জন্য এই নামটি ব্যবহার করেছেন।


মাইক্রোসফট (Microsoft):

মাইক্রোসফট পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ সফটওয়ার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। তাদের হাত ধরেই মূলত আধুনিক কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হয়। তারা সর্বপ্রথম কম্পিউটারের জন্য অপারেটিং সিষ্টেম তৈরি করেন। তাদের তৈরিকৃত অপারেটিং সিষ্টেম উইন্ডোজ সমগ্র বিশ্বে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়। Microsoft শব্দটি মূলত Micro Computer Software এই শব্দ থেকে এসেছে। পরবর্তিতে শব্দটিকে সংক্ষিপ্ত করে Microsoft করা হয়। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন বিল গেটস।


এপেল (Apple):

এপেল গুরু স্টিভ জবস এবং স্টিভ ওজোনিক মিলে ১৯৭৬ সালের মার্চ একটি কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান তৈরি করার চিন্তা করেন। স্টিভ জবস Oregon নামের একটি প্রতিষ্ঠানে পার্ট টাইম কাজ করতেন। তিনি তার নতুন প্রতিষ্ঠানটির নাম তথ্যপ্রযুক্তি জগতের বাইরের কোন নাম দিতে চেয়েছিলেন। সেই সময়ে Apple Records এর ভক্ত ছিলেন তিনি। আবার আপেল ছিল স্টিভ জবসের প্রিয় ফল। তিনি Apple নামটির মধ্যে সবসময় একটা রিদম ছন্দ খুজেঁ পেতেন। তাই সেই হিসেবে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের নাম রেখে দেন Apple


ইয়াহু (Yahoo):

জোনাথন সুইফট সর্বপ্রথম তারাগালিভারের ভ্রমণগল্পে ইয়াহু শব্দটি ব্যবহার করেন। Isbarely নামক এলাকায় প্রবেশের পর গালিভার এক ভিন্ন ধরনের মানুষের সাক্ষাত পান। সেখানকার এক ব্যক্তিকে প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি ইয়াহু শব্দটি ব্যবহার করেন। Yahoo এর প্রতিষ্ঠাতা জেরি ইয়াং গেস ডেভিড ফিলো তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম প্রদানের জন্য এই শব্দটিকে পছন্দ করেন। কারণ, তারা তাদের সেইসব মানুষের মতোই তুলনা করে মজা পেয়েছিলেন। তাছাড়া তারা শব্দটিতে আনন্দ বা জয় সূচক ভাব খুঁজে পেয়েছিলেন।


রেড হ্যাট (Red Hat):

রেড হ্যাটের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক উরিহম দাদার প্রতিষ্ঠিত কলেজে পুরস্কার হিসেবে একটি হ্যাট বা টুপি উপহার পান, যেটিতে সাদা লাল রঙের চেক ছিল। পরে তিনি সেই পুরস্কারের হ্যাটটি হারিয়ে ফেলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তিনি তার হারিয়ে যাওয়া হ্যাটটি আর খুঁজে পাননি। তিনি তার হারিয়ে যাওয়া হ্যাটটি খুঁজে পাওয়ার জন্য তার পাঠকদের মাঝে লিনাক্সের রেড হ্যাট বেটা ভার্সন রিলিজ করেন। পরবর্তিতে এই রেডহ্যাট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এই নামের মাঝেই মূলত মার্ক তার হারিয়ে যাওয়া হ্যাটটি বাস্তবে না হলেও কল্পনাতে খুঁজে পান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.