৩৯ স্ত্রী ও ৯৪ সন্তানের এক বৃহৎ পরিবারের গল্প
মানুষ
জীবনে বিয়ে কয়বার করে? হয়তো আপনি বলবেন একবার! বা কেউ হয়তো
বাড়িয়ে এটাকে দুই, তিন বা চার পর্যন্ত
বলতে পারে। বিয়ে নিয়ে অনেকে হতে পারে ভীত আবার অনেকে হতে পারে উৎসাহী। তাইবলে বিয়ে নিয়ে মাতামাতি নিশ্চয়ই আপনি পছন্দ করবেন না। আপনাকে যদি কেউ ১৮টা বিয়ে করতে বলে নিশ্চয়ই আপনি তার উপর খুব রেগে যাবেন। অথবা সমাজের কেউ যদি জোড়া দশেক বিয়ে করে বসে তাকে নিশ্চয়ই কেউ ভাল চোখে দেখবে না। কিন্তু উত্তর ভারতের জিয়না চানার কাছে বিয়ে নিয়ে এসব ভাবা ভাবির কোনও সুযোগ নেই।
মিয়ানমারের সীমানা ঘেঁষা ভারতের মিজোরাম রাজ্যের উঁচু পাহাড়ি গ্রামের জিয়না চানার বয়স এখন ৬৭ । বয়সে সবাই তাকে ৬৭ বছরের বুড়ো ভাবলেও চানা কিন্তু তেমনটি মোটেও ভাবেন না। হ্যাঁ, ছানার বয়স যাহাই হোক এটা কিন্তু আমাদের বিষয় নয়, আসল বিষয় হচ্ছে তার বিয়ে। বর্তমানে তার বিয়ে করা স্ত্রীর সংখ্যা কত জানেন? মাত্র ৩৯ জন। মাত্র বলছি এ কারণে যে, ৬৭ বছরেও চানার আরও বিয়ে করার ইচ্ছেটা মোটেও কমে যায়নি। সংবাদ মাধ্যমের ভাষ্যমতে, কেউ আগ্রহী হলে তিনি নাকি আরও কয়েকটি বিয়ে করতে একপায়ে খাড়া। বিয়ে এবং পরিবার সম্পর্কে চানার মনোভাব এমন 'প্রতিদিনই আমি আমার পরিবার বর্ধিত করতে চাই এবং আরও বিয়ে করতে চাই'।
১৭
বছর বয়সে চানা প্রথম বিয়ে করেন। সেই স্ত্রীর বয়স ছিল তখন তার চেয়ে ৩ বছর বেশি।
সেই শুরু। তারপর আর পিছনে ফিরে
তাকান নি। তিনি বিয়ে
নামের মধুর স্বাদ গ্রহণ করে চলেছেন অনবরত। বিয়ের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে চানা বলেন, “একটা সময় ছিল যখন আমি বছরে সর্বোচ্চ ১০টি পর্যন্ত বিয়ে করেছি”। বর্তমানে চানার
৩৯ জন স্ত্রীর গর্ভে
জন্মগ্রহণ করেছে ৯৪ জন ছেলেমেয়ে।
ছেলেমেয়েদের ঘরে জন্ম নেওয়া নাতি-নাতনির সংখ্যা এরই মধ্যে দাঁড়িয়েছে ৩৩। অর্থাৎ ৬৭ বছরের বুড়ো
চানার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা এখন ১৬৭।
চানার
নিজ গ্রামের চারতলা একটি দালানে ১০০টি রুমে বসবাস করছে পরিবারের সব সদস্য। আর
তার স্ত্রীরা থাকেন চানার নিজ বেডরুমের পাশের একটি ডরমিটরিতে গাদাগাদি করে। তবে স্থানীয়রা জানান, সবসময় স্ত্রীদের অন্তত ৭-৮ জন
তার চারপাশ ঘিরে থাকুক চানার এমনটিই পছন্দ । ১৬৭ সদস্যের
বিশাল এ পরিবারের প্রতিদিনের
খাবারের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন পড়ে কমপক্ষে ৯১ কেজি চাল
এবং ৫৯ কেজি আলু,
যার অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা এবং বাকি তার অনুসারীদের অনুদানের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়।
১৯৪২
সালে খ্রিষ্ট ধর্মালম্বনকারী জিয়না চানা পরে নিজেই একটি ধর্মের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। বহুবিবাহে বিশ্বাসী চানা মনে করেন, বহুবিবাহের মাধ্যমে তার প্রবর্তিত নতুন খ্রিস্টধর্ম এক সময় সমগ্র
বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। আর এই ভ্রান্ত
ধারনার কারণেই নাকি চানা অনবরত বিয়ে করে চলেছেন।
কোন মন্তব্য নেই