আজব এক ছাগল সুন্দরী প্রতিযোগিতা !
মানুষ সুন্দর ভালবাসে। সুন্দরের মাধুর্যে বুদ হতে চায় সকল মানুষের হৃদয়। আর তাইতো প্রতিবছর বিশ্বে মিস ইউনিভার্স, মিস ওয়ার্ল্ড, মিস আর্থ সহ বিভিন্ন সুন্দরী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই সকল সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও এলাকা থেকে সুন্দরী প্রতিযোগীরা অংশ গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সুন্দরী প্রতিযোগিতা।
মানুষের
মাঝের সৌন্দর্যকে খুঁজে বের করার জন্য এই সকল প্রতিযোগিতার
আয়োজন করা হয়। হ্যাঁ, আপনারা সাধারণত এই ধরনের সুন্দরী
প্রতিযোগিতার সাথে বেশী পরিচিত। তবে মানুষের সৌন্দর্য খোজার বাহিরেও অনেক সময় ব্যতিক্রমী কিছু সুন্দরী প্রতিযোগিতা মাঝে মাঝে দেখা যায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তেমনই একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতা হচ্ছে ছাগল সুন্দরী প্রতিযোগিতা। কি অবাক হলেন?
অবাক করা বিষয় হলেও আমাদের আজকের বিষয় ছাগল সুন্দরী প্রতিযোগিতা।
মিস
ইউনিভার্স বা এই জাতীয়
সুন্দরী প্রতিযোগিতার বাহিরে ব্যতিক্রমী এক সুন্দরী প্রতিযোগিতার
আয়োজন করা হয়েছিল ২০১১ সালের ০৫ জুলাই তারিখে
লিথুনিয়ার রামিগালা শহরে। যে প্রতিযোগিতার প্রতিযোগী
ছিল এক পাল ছাগল।
যাদের মোট সংখ্যা ছিল ১৩টি। রামিগালা শহর কর্তৃপক্ষ এই ছাগল সুন্দরী
প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।
প্রাথমিক
বাছাইয়ের পর মোট ১৩টি
ছাগল অংশ গ্রহণ করে এই প্রতিযোগিতায়। সেরার
মুকুটে লড়াইয়ে শুধু যে ছাগলরাই উত্তেজিত
ছিল তা কিন্তু নয়,
উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল ছাগলের মালিক থেকে শুরু করে শহরের সাধারণ জনসাধারণও। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে শহর জুড়ে ছিল বিতর্ক আর জল্পনা-কল্পনা
যে, কার ছাগল পাবে সেরার খেতাব? মালিকরা একে অপরের ছাগলের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চালিয়েছিলেন গোয়েন্দাগিরি। এমনকি কারো ছাগল নেশা জাতীয় গুল্ম 'ব্রুম' এর প্রতি আসক্ত
কিনা সে খোঁজও নিয়েছিল
প্রতিপক্ষরা। শুধু তাই নয়, এসব নিয়ে তুমুল ঝড় উঠেছিল সামাজিক
যোগাযোগের সাইটগুলোতেও।
মানুষের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব নাম থাকে। কিন্তু ছাগলদের প্রতিযোগিতায় তাদের কি বলে ডাকা হবে! তাই প্রত্যেক ছাগলের মালিক তার প্রতিযোগীর জন্য রেখেছিল সুন্দর একটি নাম। প্রত্যেক মালিক তাদের ছাগলকে প্রতিযোগিতার স্থলে নিয়ে এসেছিল সুন্দর পরিপাটি করে সাজিয়ে। কেউ কেউ আবার তাদের ছাগলের মাথায় জড়িয়ে এনেছিল বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের মুকুট। শহর কর্তৃপক্ষ ও হাজার হাজার লোকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ব্যতিক্রমী এই ছাগল সুন্দরী প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শেষে ঘোষণা করা হয় সেরা সুন্দরী ছাগলের নাম।সেরা সুন্দরী ছাগলের খেতাব জয় করেন যে ছাগলটি তার নাম ছিল “গ্র্যাজিওলাইট ''।
প্রতিযোগিতায়
ছাগলদের সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক অবয়বকে
প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। গ্র্যাজিওলাইট সব ছাগল থেকে
ব্যতিক্রম থেকে পুরস্কার জয় করে কারণ
তার দেহে কোনও উৎকট গন্ধ ছিল না। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই ছাগল প্রতিযোগিতা
সেখানের স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি করেছিল। উল্লেখ্য, লিথুনিয়ার রামিগালা শহরটি ছাগলের জন্য বিখ্যাত। আর সেই হিসেবে
ছাগল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শহর কর্তৃপক্ষ একটি ইতিহাসের জন্ম দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই